বিয়ের পর সম্পর্কের পরিবর্তনে আপনি কি প্রস্তুত?

বিয়ের পর সম্পর্কের পরিবর্তনে আপনি কি প্রস্তুত?

rupcare_after marriage1
সম্পর্ক অতি মিষ্টি একটা বিষয়। বন্ধু-বান্ধব, স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্কের ব্যাপার তো আছেই। এর সাথে আছে ভাইয়ের সাথে বোনের, ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের কিংবা বোনের সাথে বোনের সুমধুর সম্পর্কের ব্যাপার। কিন্তু ভাই-বোন যেকোনো একজনের বিয়ের পরে এই সম্পর্কেও শৈথিল্য আসতে পারে। এমন সময় তাকে আরও দূরে ঠেলে না দিয়ে যতটা সম্ভব তার কাছাকাছি হওয়ার চেষ্টা করাই যুক্তিযুক্ত। বিয়ের পরে সম্পর্কের পরিবর্তনের ব্যাপার নিয়েই আজকের লেখা।
রিতা-মিতা পিঠাপিটি দুই বোন। একই সঙ্গে বড় হয়ে উঠেছেন। ছেলেবেলা থেকেই তাদের যত ঝগড়া, ভাবও ঠিক ততটাই। কিন্তু ইদানীং বড় বোন রিতার বিয়ের পর থেকেই তাদের সম্পর্কে একটা দূরত্ব এসেছে যা ছোটবোন মিতাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। রিতা এখন বাপের বাড়ির কোনো দায়িত্বই নিতে চায় না। স্বামীই সব সময় তার প্রথম গুরুত্ব পাচ্ছে। বাবা-মায়ের অসুখ-বিসুখ, বাড়ির ছোট-বড় সব কাজ মিতাকেই একহাতে সামলাতে হচ্ছে। রিতাকে ব্যাপারটা জানালেও সে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। কোনো একটা অজুহাতে পুরো ব্যাপারটা কাটিয়ে দেয়। বোনের এমন আচরণে মিতা প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছেন। বিয়ের পরে কেউ যে এত দায়িত্বহীন হয়ে যতে পারে সেটা তার ধারণাতেই ছিল না।
নতুন ভাবনা
বিয়ের পরে জীবনের একটা নতুন দিক খুলে যায় ঠিকই কিন্তু তা বলে পরিবার বিশেষ করে বাবা-মাকে অবহেলা করা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। যাই হোক, এমনটাও তো হতে পারে আপনার বোনের বিয়ের পরে নতুন জীবনে মানিয়ে নিতে একটু বেশিই সময় লাগছে। শ্বশুরবাড়ি আর বাবার বাড়ির পরিবেশে সামঞ্জস্য করা খুব একটা সহজ কথা নয়।
যাই হোক, যতই মনে হোক বোনটি পুরোনো সংসারে খুব একটা উত্সাহ দেখাচ্ছেন না, তাকে কখনোই নিজেদের থেকে আলাদা করবেন না। কোনো সমস্যার কথা নয়, কোনো কারণ ছাড়াও তো কথা বলা যায়। আগে যেমনটা করতেন, ঠিক তেমনভাবেই একসঙ্গে আড্ডা দিন। তা বাড়িতেও হতে পারে কিংবা আপনার পছন্দের কফি শপেও। গল্পচ্ছলে পরিবারের সংবাদ তাকে দিন। তার শ্বশুর বাড়ির খবরাখবরও নিন। শ্বশুর বাড়িতে কোনো সমস্যা থাকলে একসঙ্গে বসে সমাধান করার চেষ্টা করুন। নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্বটা কখনও বাড়তে দেবেন না। মাঝেমধ্যে কোনো উপলক্ষ ছাড়াই বোনের বাড়িতে যান। বোন বা তার শাশুড়ির প্রিয় একটা খাবারের আইটেম রান্না করে নিয়ে যান। সবাই একসঙ্গে বসে আড্ডা দিন। এতে দুই পরিবার একাত্ম হবে। আপনার পারিবারিক সমস্যায় তাদের সদুপদেশ এবং সহযোগিতা পাবেন। একা লাগবে না।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক

Comments